আইন আদালতলিড নিউজ

এসপি আদিলের মৃত্যু ঘিরে রহস্য: আত্মহত্যা, দুর্ঘটনা নাকি খুন?

এসপি আদিলের মৃত্যু ঘিরে রহস্য: আত্মহত্যা, দুর্ঘটনা নাকি খুন?

পাকিস্তানের ইসলামাবাদ পুলিশে নেমেছে শোকের ছায়া। কারণ আই-৯ বিভাগের পুলিশ সুপার (এসপি) আদিল আকবরকে বৃহস্পতিবার সংবিধান অ্যাভিনিউয়ে তার গাড়ির ভেতরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। কামোকে জেলার বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সি এই কর্মকর্তার মাথায় গুলির আঘাত ছিল, যা তার মৃত্যু ঘটায়।

এটি আত্মহত্যা, দুর্ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড- প্রশাসন এখনো এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছুই জানতে পারেনি। খবর জিও নিউজের।তিবেদন অনুযায়ী, পিমস হাসপাতালে সম্পন্ন হওয়া ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুলিটি আদিল আকবরের কপাল ভেদ করে মাথার পেছন দিক দিয়ে বেরিয়ে যায়, ফলে গুরুতর মস্তিষ্কের ক্ষতি হয় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে।পরে তার লাশ পুলিশ লাইনসে জানাজা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আদিল আকবর এক বছরের এক কন্যাশিশুকে রেখে গেছেন। আই-৯ অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুর পর শোকের ছায়া নেমেছে সহকর্মীদের মধ্যে।ইসলামাবাদের পুলিশ প্রধান (আইজিপি) আলি নাসির রিজভি সাংবাদিকদের জানান, এসপি আদিল অফিস যাওয়ার পথে তার সরকারি গাড়ির ভেতরে গুলিবিদ্ধ হন।তিনি বলেন, এখনই এটিকে আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা বলা হবে অকালপক্ব সিদ্ধান্ত। আমরা সব দিক থেকেই তদন্ত করছি।এদিকে এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন সেফ সিটি ডিরেক্টর জেনারেল হারুন জোইয়া। দলের অন্য সদস্যরা হলেন ডিআইজি (অপারেশনস) জাওয়াদ তারিক এবং ডিআইজি (সিকিউরিটি) আতীক তাহির।এদিকে ঘটনার তদন্তে প্রথমে এসপি আদিলের ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তার অপারেটরকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।ঘটনাস্থলের সেফ সিটি ক্যামেরার সব ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ফরেনসিক বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে।

আইজিপি রিজভি আরও বলেন, এসপি আদিলের মোবাইল ফোনটি লক করা, সেটিও ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হবে। ফরেনসিক ও ডিজিটাল রিপোর্ট সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া সম্ভব নয়।এদিকে ঘটনার পর কিছু গণমাধ্যমে আত্মহত্যার খবর প্রকাশিত হলেও, পুলিশ এখনো তা নিশ্চিত করেনি। প্রাথমিক তথ্যে বলা হয়, আদিল আকবর নাকি তার স্টাফের কাছ থেকে একটি পিস্তল নিয়ে একটি প্রাইভেট হোটেলের কাছে নিজের বুকে গুলি করেন।গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পলিক্লিনিক হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি সেখানে মারা যান।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪৬তম কমনের এই কর্মকর্তা এর আগে ইসলামাবাদ পুলিশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ৯টি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।