২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এসব টিকা সংরক্ষণে সদর হাসপাতালের ওয়াকইনকুলার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে করোনার টিকা প্রদান করা হবে। মঙ্গলবার করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য জেলা কমিটির এক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
ভোলায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ কমিটির সভাপতির সিভিল সার্জন ডা: সৈয়দ রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাসুদ আলম সিদ্দিক।
এসময় সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, ঢাকার এবং ৮টি বিভাগ শেষে জেলা পর্যায়ে এ ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। ভোলা সদর হাসপাতালে ৮টি কাউন্টারে ১৬ জন দক্ষ সেবিকা ও ৩২ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে প্রথম ধাপে এ টিকা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতেও দেয়া হবে এসব টিকা। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত ব্যক্তিদের তালিকা অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে টিকা দেয়া হবে। টিকা পাওয়ার জন্য অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সরকারের নির্দেশনা অনুয়ায়ী ১৫টি ক্যাটাগরিতে আবেদন করা যাবে। পর্যায়ক্রমে সকলকে এই টিকার আওতায় আনা হবে। এছাড়া ভ্যাকসিনের ব্যাপারে যারা গুজব ছড়াবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
সিভিল সার্জন ডা: সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, জেলায় মোট ৩৭ হাজার করোনা টিকার মধ্যে সদর উপজেলায় পাবে ১১ হাজার ১’শ ৬০ ডোজ, দৌলতখানে ৩ হাজার ৭’শ ২৮, বোরহানউদ্দিনে ৪ হাজার ৩’শ ৫২, লালমোহনে ৩ হাজার ৮’শ ২১, তজুমদ্দিনে ২ হাজার ৭’শ ৭০, চরফ্যাশনে ৮ হাজার ৯’শ ৯৯ ও মনপুরায় ২ হাজার ১’শ ৭৭ ডোজ।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উটস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুজিত হালদার, অতিরিক্তি পুলিশ সূপার মহসিন আল ফারুক, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: মোশারেফ হোসেন, ভোলা প্রেসক্লাব সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. হাবিবুর রহমান, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
Comment here
You must be logged in to post a comment.