অপরাধজাতীয়বিশেষ প্রতিবেদনসর্বশেষ সংবাদসারা বাংলা

স্কুল ছাত্র শুভকে হত্যার উদ্যেশে পরিকল্পিত ভাবে অপহরন থানায় অভিযোগের পরও ব্যবস্থা গ্রহনে গড়িমসি

স্কুল ছাত্র শুভকে হত্যার উদ্যেশে পরিকল্পিত ভাবে অপহরন থানায় অভিযোগের পরও ব্যবস্থা গ্রহনে গড়িমসি

মো. শাউন.নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

নোয়খালী জেলার সোনাইমুড়ী থানাধিন ১নং জয়াগ ইউনিয়নের ছোট কেগনা গ্রামের নোয়াবাড়ী মাদ্রসার মাঠে ওয়াজ প্রাঙ্গণ হতে গত ২৫/০১/২০২১ইং রোজ মঙ্গলবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ .৩০ ঘটিকার সময় স্কুল ছাত্র সাইফুল ইসলাম শুভকে উপস্থিত জনগনের সম্মুখ হতে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্যেশে অপহরন করে একই গ্রামের আলামিন ও ঝন্টুর সন্ত্রাসী বাহীনি। এ ঘটনার বিষয়ে রাত্রেই শুভ’র মা বাদি হয়ে সোনাইমুড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগের পর তদন্তে কথা বলে গড়িমসি করছেন থানা প্রশাসন।

অভিযোগকারী ও গ্রামবাসীদের মাধ্যমে জানাযায়, ১ নং জয়াগ ইউনিয়নের ছোট কেগনা গ্রামের নোয়াবাড়ী মাদ্রসার মাঠে ওয়াজ প্রাঙ্গণ হতে একই গ্রামের আবুল কাশেমের মেজ ছেলে জয়নাল আবেদিন ঝন্টু ও ছোট ছেলে আলামিনের সন্ত্রাসী বাহীনি দারা মাদ্রসার মাঠ থেকে তাকে চুরি ঠেকিয়ে এে সন্ত্রাসীদের গডফাদার জয়নাল আবেদিন ঝন্টুর বসতবাড়ি সংলগ্ন লেয়ার বাড়ি বাগানের সাথে একটি পরিত্যক্ত ভবনের ২য় তলায় জনশুন্য জায়গায় নিয়ে শুভকে এলাপাতাড়ি ভাবে সংঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র বেদড়ক মারধর করে।

একপর্যায়ে তাঁকে হত্যার উদ্যেশে গলায় ছুরি দিয়ে পোচ দিলে হাজীবাড়ির কাজি মিয়ার ছেলে মো. সোহেল ও পাটওয়ারীর ছেলে নাদিম রাস্তার দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় শুভ’র চেচামেছি শুণে ঐ পরিত্যক্ত ভবনের দিগে এগিয়ে আসার আঁচ পেয়ে সংঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র শুভকে রেখে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।

এলাকার জনগন ও তার পরিবার সদস্য খবর পেয়ে সোহেল ও নাদিমের সহযোগিতায় শুভকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার উদ্যেশে বজরাস্থিত সোনাইমুড়ী স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বেডরেষ্টের পরামর্শ দিয়ে ও পাশাপাশি পুলিশ কেইসের ব্যবস্থা পত্র দিয়ে ছেড়ে দেন। উক্ত ঘটনার বিষয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টসের ৯৯৯ নাম্বারে সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকার সময় আইনি সহযোগিতা ছেয়ে টেলিফোন করা হলে সেনাইমুড়ী থানার ডিউটি অফিসারকে অবগত করিলে এ এস আই অপু কর্মকারকে দায়িত্ব দিয়ে ঘটনাস্থলটি তদন্তের জন্য পাঠান।

শুভকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্দার করে মেডিকেলে নেওয়ার পর রাত্র আনুমানিক ১০ ঘটিকার পর এ এস আই অপু কর্মকার ঘটনাস্থলে পৌছান। রাত ১২.০০ ঘটিকা পর্যন্ত সোনাইমুড়ী থানা হতে ঘটনার বিষয়ে কোন কিছুই জানাতে পারেন নি সোনাইমুড়ী থানার কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার। উক্ত ঘটনার বিষয়ে সার্বিক আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংস্থা’র ঢাকা মহানগরীর কমিটির পক্ষ থেকে রাত্র ১২ ঘটিকা পর্যন্ত থানায় বারবার ফোন করে বিষয়টি জানতে ছাইলে ডিউটি অফিার কোন কিছুই জানাতে পারে নি। পাশাপাশি ১ নং জয়াগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব শওকত আকবরকে বিষয়টি অবগত করিলে তিনিও ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি অনুধাপন করেন।

এ ঘটনায় রাতেই শুভ’র মা বাদি হয়ে সোনাইমুঢ়ি থানায় মামলা করতে গেলে থানা প্রশাসন মামলা না নিয়ে একটি অভিযোগ গ্রহণ করেন। উক্ত অভিযোগে ১।জয়নাল আবেদিন ঝন্টু(৩৫) ২। আল আমিন(২৫) উভয় পিতা আবুল কাশেম, ৩। সাগর(২৫) পিতা অজ্ঞাত ৪। আরিফ(২১) পিতা.মগবুল,৫।বোরহান (১৯) পিতা অঞ্জত, সর্বসাং-ছোট কেগনা। থানায় অভিযোগেরপর ২৬/০১/২১ ইং তারিখে অভিযুক্ত জয়নাল আবেদিন ঝন্টু ও আল আমিন শুভ’র পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন।

তারা বলছেন এই বারে শুভ জানে মারতে পারেনি তবে শুভ যদি ঘর থেকে বের হয় অথবা তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগপত্রটি যদি উঠিয়ে নেওয়া না হয় তাহলে ২/৪ দিনের মধ্যে শুভকে ও তার পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলবেন বলে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। শুভ’র পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন, তার পরও থানা হতে তাদের সেফটির বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ ঘটনাটি জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাহী মেম্বারদের নজরদারীতে থাকার পরও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা থানা প্রশাসন।

এ ঘটনার ও অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আমির হামজার নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে দৈনিক মুক্ত খবরকে জানান অভিযোগের কফিটি তিনি এখনো হাতে পাননি। তিনি থানায় যোগাযোগ করার জন্য বলে টেলিফোনের সংযোগটি কেটেদেন। পরবর্তীতে থানার ডিউটি অফিসারের নিকট ঘটনাটি ও বর্তমান হুমকি ধামকির বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন অভিযোগের দায়িত্বরত অফিসার বিষয়টি দেখবেন, যা ব্যবস্থা নেওয়ার তিনি নিবেন।

অবশেষে সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(অসি) মো. গেয়াস উদ্দিনের নিকট ঘটনার বিষয়ে ও বাদিনীকে হুমকি এবং অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তার এহেন বক্ত্যবের বিষয়ে দৈনিক মুক্ত খবরকে বলেন বিষয়টি তদন্তাদিন রয়েছে।

এলাকাবাসীর মতে থানা প্রশাসনের এহেন গড়িমসির কারনে খুর্ব্দ এলাকাবাসী।

Comment here