করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজলোয় অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে বেসরকারি ক্ষুদ্রঋণ সেবাদানকারী সংস্থা আশা।
কোভিড-১৯ ভাইরাসের ব্যাপকতা ঠেকাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ সরকারও গত ২৬ মার্চ থেকে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছে। ফলে, দৈনিক উপার্জন নির্ভর নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট। এ খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সরকার ত্রাণসামগ্রী বিতরণের বৃহৎ কর্মসূচি নিয়েছে।কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘আশা’ নিজস্ব তহবিল থেকে সারা দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে ১২ কোটি টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইতোমধ্যে ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ২২ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা করেছে আশা। খাদ্য সামগ্রী বিতরণের ধারাবাহিকতায় সিলেট জেলার প্রতিটি উপজেলায় ২০০ পরিবার এবং জেলা শহরে ৫০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে আশা।
এরই ধারাবাহিকতায়, আশা সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (১২ মে) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা সুমন আচার্য্যের কাছে খাদ্যসামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। এসব খাদ্যসামগ্রী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে বিতরণ করে।
উন্নয়ন সংস্থা আশার সিলেটের ডিভিশনাল ম্যানেজার ইসকান্দার মীর্জা বলেন, আশা সিলেট জেলার পক্ষ থেকে প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ২০০ বস্তা খাদ্যসামগ্রী এবং জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ৫০০ বস্তা খাদ্যসামগ্রীসহ মোট ৩১০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার প্রস্তুতি শেষ করেছে। খাদ্য সামগ্রীর প্রতি ব্যাগে থাকছে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১ লিটার ভোজ্য তেল এবং ১ কেজি লবন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আশার সিলেট (সদর) উপজেলার সিনিয়র ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার এম জি রায়হান, আশার কোম্পানীগঞ্জ অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মৃনাল কান্তি চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ-০১ ব্রাঞ্চের বিএম লোকমান হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ-০২ ব্রাঞ্চের বিএম মাফিকুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ-০১ ব্রাঞ্চের সিএবিএম দিলীপ পুরকায়স্থ এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক ও উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তি।
Comment here
You must be logged in to post a comment.