প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘কোনও ব্যক্তি বা দলকে সুবিধা দিতে নয়, সাংবিধানিক কারণেই করোনার মধ্যে উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচন পেছানোর আইনগত কোনও সুযোগ নেই। তবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে নিতে পারেন। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিলাম। তিনিও বলেছেন নির্বাচন না করার কোনও সুযোগ নেই।’
আজ শনিবার (১১ জুলাই) দুপুরে যশোর-৬ কেশবপুর আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত ও প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। কেশবপুর আবু শারাফ সাদেক অডিটরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১৪ জুলাই যশোর-৬ ও বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। .
এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘করোনা আছে, আরও অনেকদিন থাকবে। এর জন্য সবকিছু বন্ধ রাখা যাবে না। দৈনন্দিন কাজ ও নির্বাচনের মতো কাজ এর মধ্যেই করতে হবে।’ এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে প্রচারণা চালানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি। একইসঙ্গে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের মাস্ক খুলে পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে বলে উল্লেখ করেন সিইসি।
জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে সভায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহমেদ খান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
Comment here
You must be logged in to post a comment.