যতবারই ভোটে দাঁড়িয়েছেন একবারও টিকেনি জামানত, কোন বারই দুই সংখ্যা অতিক্রম করতে পারেনি ভোটের অংক- তবুও নির্বাচন এলেই কিসের নেশায় কেমন করে যেন তিনি প্রার্থী হয়ে যান।
সাধারণ ভোটাররা ভোট পাগল এ মানুষটিকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করে বিনোদন নিলেও ভোটের ব্যাপারে ভীষণ সিরিয়াস তিনি। বিএনপি-আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সাথে তাল মিলিয়ে তিনিও মাঠে চালাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা, করছেন গণসংযোগ। তার ভোটের প্রচারণা করতে ফেনী আসছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া স্বঘোষিত নায়ক হিরো আলম।
তিনি জানান, নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জনগনের ভোট না পেলেও দুঃখ নেই তার। তবে দূঃখের বিষয় হলো- যতবারাই প্রার্থী হয়েছেন নিজের ভোটটাই তিনি নিজেকে দিতে পারেননি, কেন্দ্রে গিয়ে দেখেন তার ভোট দেয়া হয়ে গিয়েছে।
তারিকুল ইসলাম জানান, সর্ব প্রথম ২০১৪ সালে ফেনী সদর উপজেলা নির্বাচনে মেজর জেনারেল ইব্রাহিমের দল কল্যাণ পার্টি থেকে জাহাজ প্রতীক নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যানের নির্বাচন করেছিলেন। সেই যে শুরু আর থামেননি তারেক।
এরপর ২০১৬ সালে ফেনী পৌরসভা নির্বাচনের মনোননয়ন পত্র কিনেছিলেন- তবে শেষ পর্যন্ত তা জমা পড়েনি। তারেক বলেন, অব্যাহত হুমকি ধামকি আর অশুভ শক্তির কারণে সেবার মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারিনি।
২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী ০১ নির্বাচনী আসনে এনডিএম থেকে হারিকেন প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন। সাকুল্যে ভোট পেয়েছিলেন ৬টি। তবুও তিনি থেমে থাকেন নি। ৩০ জানুয়ারির ফেনী পৌর নির্বাচনে আবার মেয়র প্রার্থী হলেন।
বার বার প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে কথা হয় তারেকের সাথে। তিনি জানালেন, “এভাবে প্রার্থী হতে হতেই একদিন লেগে যাবে- সফলতা আসবেই। নির্বাচনকে ঘিরে ভোটের হারানো সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে চাই। প্রজন্মকে জানতে হবে এদেশে একদিন গনতন্ত্র ছিলো, ভোটের রাজনীতি ছিলো। কোনদিন যদি নির্বাচিত হই- তরুণদের কর্মসংস্থান নিয়ে কাজ করবো সবার আগে।”
জেলার পরশুরাম উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা বিলোনীয়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে তারিকুল ইসলাম। ছোটকাল থেকেই বসবাস করেন পৌর এলাকার বারাহীপুর গ্রামে। মেজর সালাহ উদ্দিন স্কুলে পড়ালেখা করলেও এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
Comment here
You must be logged in to post a comment.