সন্ধ্যায় রাজধানীতে ৭৪ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হয়েছে সঙ্গে রয়েছে বৃষ্টি।

বৃহস্পতিবার (০৭ মে) সকাল থেকে রাজধানীর আকাশ ছিল ঝকঝকে পরিষ্কার। বিকালে আকাশ মেঘলা হলেও শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি। তবে ইফতারের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ তীব্র ধূলিঝড় শুরু হয়। মিনিট পাঁচেক এই ঝড়ের পর নামে বৃষ্টি। তবে বৃষ্টি খুব বেশি না হলেও সঙ্গে ছিল ঝড়ো বাতাস। মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ চমকাতেও দেখা গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দীন বলেন, সন্ধ্যায় রাজধানীতে ৭৪ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হয়েছে, সঙ্গে রয়েছে বৃষ্টি।

রাজধানীর ধানমন্ডি, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, শ্যামলী, আদাবর, উত্তরা, আগারগাঁও এলাকা থেকে ঝড়ের খবর পাওয়া গেছে।  এ সময় গাছের ডালগুলো উড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।

এদিকে, ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার জিয়াউর রহমান বলেন, ঝড়ে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো বড় দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

এ অবস্থায় রাতে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ ছাড়া অন্য বিভাগগুলোতে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়াবিদ আব্দুর রশিদ বলেন, এ মৌসুমে ঝড়বৃষ্টি হবেই। বাংলাদেশের আকাশে লঘুচাপ থাকায় এই ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। রাতে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গা এবং কুমিল্লা অঞ্চলসহ ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ এবং বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্য এলাকায় আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আজ দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে ৩৯ মিলিমিটার। এছাড়া ঢাকা বিভাগের মধ্যে গোপালগঞ্জে ২৩, ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে নেত্রকোনায় ২০, চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চাঁদপুর ও ফেনীতে ১৯, খুলনায় ২৪ এবং বরিশালে ১১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।