সোমবার (৪ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে জুম ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)-র নির্বাহী প্রকৌশলীদের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ও এলজিইডির অন্যান্য কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে এ ভিডিও কনফারেন্স আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, অনলাইনের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে ৬৪টি জেলা থেকে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীরা তাদের কাজের অগ্রগতি মন্ত্রীকে অবহিত করেন এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে কী ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করছেন তা তুলে ধরেন। তারা জানান, সড়কে মাটি ভরাটসহ কিছু কাজ সামাজিক দূরত্ব মেনে করা সম্ভব হচ্ছে। তবে কার্পেটিং বা ঢালাইয়ের কাজ করতে কিছুটা অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া নিয়মিত যে সব শ্রমিক কাজ করে তারা নিজ নিজ এলাকায় চলে যাওয়ায় দক্ষ কর্মীর অভাব সৃষ্টি হয়েছে। পাথর আমদানিতে ও পরিবহনেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। সিমেন্টসহ কিছু উপকরণের দাম বেড়ে গেছে। স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির ব্যাপারগুলোও আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন লকডাউন বা ছুটি বাস্তবায়নে কঠোর হবার কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।
মন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। কাজেই সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে কেটে যাবে। তারপরও যেসব জায়গায় আমাদের ভূমিকা রাখা দরকার সেটা আমরা করবো। আপনারা এডিপি ও অন্যান্য কার্যক্রম যথাযথভাবে এবং গুণগত মান নিশ্চিত করে বাস্তবায়ন করুন। যেসব জেলায় কাজের অগ্রগতি কিছুটা ঘাটতি রয়েছে তারা একটু জোর দিয়ে কাজ করলে এ ঘাটতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
বেশিরভাগ জেলা ইতিমধ্যে এডিপি’র প্রায় শতকরা ৭৫-৮০ ভাগ কাজ বাস্তবায়ন করেছে বলে মন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শতভাগ অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
ভিডিও কনফারেন্সে আরো সংযুক্ত হন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ খান।
Comment here
You must be logged in to post a comment.