মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
লিবিয়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মাদারীপুরে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।রোববার (৩১ মে) মাদারীপুরের রাজৈর থানায় রাজ্জাক হাওলাদার নামে একজন বাদী হয়ে চারজনের নামে মানবপাচার আইনে মামলা করেন। রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে জুয়েল লিবিয়ায় গিয়ে নিখোঁজ হন।সম্প্রতি লিবিয়ায় গুলি করে ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়। নিহতদের মধ্যে মাদারীপুরের ১১ যুবক রয়েছে।
লিবিয়ায় হতাহতের ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার মাদারীপুরের দালাল রাজৈর উপজেলার জুলহাস শেখের বাড়িতে হামলা করে নিখোঁজ যুবকদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী। এ খবর পেয়ে রাজৈর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিখোঁজ জুয়েল হাওলাদারের বাবা রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, ‘এলাকার কয়েকজন দালাল আমার ছেলেসহ বেশ কয়েকজনকে লিবিয়া নেওয়ার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা চুক্তি করে নিয়ে তাদেরকে তিন চার মাস আগে নিয়ে যায়। তারপর লিবিয়ার ত্রিপলী না নিয়ে বেনগাজী নামে এক গ্রামে আটকে রেখে নির্যাতন শুরু করে। এরপর ভয়েজ রেকর্ডে নির্যাতনের শব্দ পাঠিয়ে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করে। আমরা হোসেনপুর জুলহাস শেখ নামের ওই দালালের বাড়িতে গিয়ে ১০ লাখ টাকা দিয়ে আসি। লিবিয়ায় গুলি করে অনেক বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছেলেরও কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।’
একই গ্রামের নিখোঁজ মানিক হাওলাদারের বাবা শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ‘আমার ছেলে মানিককে লিবিয়া নেওয়ার কথা বলে দালাল জুলহাস আমার কাছ থেকে প্রথমে ৪ লাখ টাকা নিয়েছে। পরে ছেলেকে বেনগাজী আটকে রেখে ভয়েজ রেকর্ডের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। আমি আমার ছেলেকে আনতে জুলহাসের বাড়ি গিয়ে টাকা দিয়ে আসি। এই ঘটনায় রোববার (৩১ মে) রাজৈর থানায় জুলহাসসহ চারজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আমরা চাই, এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি হোক।’
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত জাহান বলেন, ‘লিবিয়ায় লোক পাঠানোর অভিযোগে জুলহাস শেখসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। করোনার উপসর্গ থাকায় জুলহাস শেখ মাদারীপুর সদর হসাপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি রয়েছে।’
Comment here
You must be logged in to post a comment.