মাশরাফি বিন মুর্তজাসহ জাতীয় দলের ৩৩ ক্রিকেটার প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে অনলাইন সভায় বসেছিলেন। গত ১৬ জুন ২১ ক্রিকেটার এবং দুদিন পর ১২ ক্রিকেটার ডমিঙ্গোর আয়োজিত অনলাইন সভায় বসেছিলেন।জুম অ্যাপে দুই দিন ঘণ্টা খানেকের বেশি সময় দেন ডমিঙ্গো। প্রথম দিন জাতীয় দলের অন্যান্য কোচিং স্টাফরাও যোগ দেন। শেষ দিন ছিলেন ফিজিও ও ট্রেনার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শেষে ছুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছিলেন ডমিঙ্গো। পাকিস্তান সিরিজের আগে তার ফেরার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারিতে একেবারেই লকডাউনে তিনি। বাংলাদেশে আসার কোনও উপায় নেই। বাংলাদেশেও চলছে একই পরিস্থিতি।
তবে শিষ্যদের সঙ্গে তার যোগাযোগ থেমে নেই। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাক্টিভ থাকেন ডমিঙ্গো। প্রত্যেক ক্রিকেটারের সঙ্গে সামাজিক এ যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে যোগাযোগ চালিয়ে গেছেন প্রোটিয়ান কোচ। প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলেছেন। লক ডাউনে তাদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। রুটিন মাফিক কাজ করার কথা বলেছেন। জানা গেছে, শেষ সিরিজের ভিডিও বের করে প্রত্যেকের সঙ্গে ম্যাচ বিশ্লেষণ করেছেন অভিজ্ঞ এ কোচ।
এবার বড় পরিসরে সকল ক্রিকেটারদের নিয়ে আলোচনা সভা করেছেন তিনি। অনলাইনে প্রত্যেককে জানিয়ে দিয়েছেন, সামনের কঠিন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে কিভাবে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। শুধু স্কিল না, মানসিক লড়াইয়ে কিভাবে জিততে হবে সেগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সভাতে।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে অধিনায়ক মাশরাফি দায়িত্ব ছেড়েছেন। তবে বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ক আরও কিছুদিন খেলা চালিয়ে যেতে চান। দেশের সফলতম পেসার খেলতে চান বড় মঞ্চে। সেই সূত্রে মাশরাফি শেষদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশের বোলিং কোচ ওটিস গিবসন মন্তব্য করেছিলেন, ডমিঙ্গোর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় নেই মাশরাফি। কিন্তু সভায় মাশরাফির উপস্থিতি আপাতত সেই বার্তা দিচ্ছে না।
Comment here
You must be logged in to post a comment.