স্টাফ রিপোর্টার:
নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার (ঢাকা অঞ্চল) মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে পুরান ঢাকার সূত্রাপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এনিয়ে এজাহারনামীয় চারজনসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার করেছে নৌ-পুলিশ ও র্যাব। শিপন ও শাকিলের আগে গ্রেপ্তার হয়েছেন ময়ূর লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার ও সুপারভাইজার আব্দুস সালাম। পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, এজাহারের আসামিদের মধ্যে মাস্টার জাকির, গ্রিজার হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধা এখনও পলাতক রয়েছে। তাদেরকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত ২৯ জুন সদরঘাট বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড নামে লঞ্চটি ডুবে গেলে ৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। পরে নৌ-পুলিশের এসআই শামছুল আলম বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এতে অবহেলাজনিত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উভয় তদন্ত কমিটি বিশ দফা সুপারিশ ও নয়টি মতামত দিয়েছে এবং ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিংবার্ড ডুবে গেছেন বলে উল্লেখ করেছে।নৌপ্রতিমন্ত্রী দুর্ঘটনার পর সিসিটিভির ফুটেজ দেখে বলেছিলেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। যদি তদন্তে প্রমাণ হয় তাহলে ‘অবহেলাজনিত’ অভিযোগে যে মামলা হয়েছে সেই মামলা ‘হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে পরিণত হবে।
Comment here
You must be logged in to post a comment.