মোবাইল ফিনান্সিয়াল সেবায় বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, জনগণের জন্য অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সেবা ডিজিটাল করা হয়েছে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ডিজিটাল রূপান্তরের কথা বলেছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের কথা বলেছে ২০১৬ সালে। ইংল্যান্ড আমাদের একবছর পর, ভারত ২০১৪ সালে, মালদ্বীপ ২০১৫ সালে তাদের দেশকে ডিজিটাল ঘোষণা করেছে এবং পাকিস্তান ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ডিজিটাল পাকিস্তান ঘোষণা করেছে।
শনিবার (১৮ জুলাই) রাতে ডিজিটাল প্লাটফর্মে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস, বাংলাদেশ (ইউল্যাব) আয়োজিত ‘স্টার্টআপ অপরচুনিটিস ইন আইসিটি অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন্স’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী এ সময় ডিজিটাল অবকাঠামোর বিদ্যমান সুযোগ কাজে লাগিয়ে মেধাভিত্তিক উদ্যোক্তা উন্নয়নের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে তরুণ শিক্ষার্থীদের নিজেদের প্রস্তুত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ডিজিটাল ডিভাইস ও ইন্টারনেট ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অপরিহার্য। ইন্টারনেট খরচ নয় এটা শিক্ষার্থীদের জন্য বিনিয়োগ।
মন্ত্রী বলেন, আগের তিনটি শিল্প বিপ্লবে পিছিয়ে থাকা কৃষিভিত্তিক একটা দেশ ডিজিটাল করাটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে শতশত বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বের জায়গায় উপনীত হয়েছে।
মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশের তরুণরা অত্যন্ত মেধাবী উল্লেখ করে বলেন, করোনায় পৃথিবীতে যে পরিবর্তন এসেছে, এরপরেও বিশ্ব আগের জায়গায় ফিরে যাবে না। আমাদের সম্ভাবনাময় প্রতিভাকে কাজে লাগাতে হবে ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশে।
অনুষ্ঠানে ইউল্যাব’র ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলা ভাষার ডিজিটাল রূপান্তরে মোস্তাফা জব্বারের অবদান তুলে ধরে বলেন, ৯১ সালে আজকের কাগজ পত্রিকা পরিবারসহ দেশের সব বাংলা পত্রিকার প্রকাশনা কম্পিউটারে সম্ভব হতো না, যদি না তার জন্ম হতো।
অনুষ্ঠানে নারী উদ্যোক্তা রুবাবা-দৌলা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
Comment here
You must be logged in to post a comment.