রাজধানীর কাফরুলে মা সীমা বেগমকে কুপিয়ে হত্যার পর আগুন দিয়ে লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সৎ ছেলে এসএম আশিকুর রহমান নাহিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলিক জবানবন্দি দিয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসীর আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করেন। একইসঙ্গে অপর পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, জাকিয়া সুলতানা আইরিন, আসেক উল্লা, রোকেয়া বেগম, শাহজাহান শিকদার ও সাকিব।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার এসআই সারিফুজ্জামান আসামিদের আদালতে হাজির করেন। এ সময় আসামি নাহিদ স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড এবং অপর পাঁচ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে আসামি নাহিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার উত্তরখান থানা এলাকা হতে নাহিদকে এবং কাফরুলের ইমান নগর ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার সকাল আনুমানিক ১১টায় কাফরুল থানার পূর্ব বাইশটেক এলাকার একটি বাসা থেকে সীমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে প্রথমে উপর্যুপরি ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। পরে তার লাশে আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়। এ ঘটনায় সীমার বড় ভাই শরীফ মোহাম্মদ বাদী হয়ে কাফরুল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।