জাতীয়লিড নিউজ

বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপন নিয়ে ঐকমত্য:ফরেন একাডেমিতে আলী রীয়াজ

বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপন নিয়ে ঐকমত্য:ফরেন একাডেমিতে আলী রীয়াজ

ঢাকার পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগীয় শহরে এক বা একাধিক হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি এই কথা জানান।

প্রফেসর আলী রীয়াজ আরো বলেন, রাষ্ট্রপতি ক্ষমার বর্তমান বিধান সংশোধনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। নতুন বিধানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি অপরাধীকে ক্ষমা করার সুযোগ থাকবে।

রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি ক্ষমার বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গত ষোল বছর বা তার আগে থেকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়টি ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হয়েছে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল অনুধাবন করেছে, সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার যে বিষয়টি আছে তা সংশোধন প্রয়োজন। সে বিষয় বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশন থেকে কিছু সুপারিশ ছিল। সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও সকল নির্বাহী ক্ষমতার মাধ্যমে ক্ষমার বিষয় সংবিধানে যুক্ত করার সুপারিশে সকল রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি এই বিধি অনুসরণ করে ক্ষমা প্রয়োগ করতে পারবে। এই ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমা কাছে প্রদর্শনের জন্য প্রেরণের পূর্বে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মতামত নিতে হবে। ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার অনুচ্ছেদ ৪৯- কোনো আদালত ট্রাইব্যুনাল যেকোনো দণ্ডের মার্জনা বা বিলম্ব, দণ্ড মওকুফ করার অধিকার রাষ্ট্রপতির থাকিবে। এবং আইন দ্বারা নির্ধারিত মানদণ্ড নীতি ও পদ্ধতি অনুসরণ করে ক্ষমতা প্রয়োগ করা হবে। সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধনের মাধ্যমে সংবিধান নতুন আইন যুক্ত হলে বিগত সময়ে রাজনৈতিকভাবে এই আইনের যে অপব্যবহার হয়েছে তা বন্ধ হবে।

বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীয়করণে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের জন্য ঐকমত্য হয়েছে। বলা হয়েছে, রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী আসন থাকবে। তবে রাজধানীর বাইরে প্রতিটি বিভাগে প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে এক বা একাধিক বেঞ্চ থাকবে। অর্থাৎ হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ ঢাকার পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগীয় শহরে থাকবে- এই বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে।

আগামী সপ্তাহে নতুন নতুন আরো অনেক বিষয়ে আলোচনার অগ্রগতি হবে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, এছাড়া জরুরি অবস্থা নিয়ে আলোচনা কথা ছিলো। কিন্তু এই বিষয়টি এনসিসির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলো। এখন যেহেতু এনসিসি আলোচনা টেবিলে নেই তাই আমরা নতুন করে জরুরি অবস্থার বিষয়ে নতুন করে রাজনৈতিকদলগুলোর কাছে হাজির করবো। আজকের আলোচনায় বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে। তিনটি বিষয়ের মধ্য দুইটি বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্য ঐকমত্য হয়েছ। আমরা আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্য অন্যান্য বিষয়ে আমরা অগ্রগতি পৌঁছতে পারবো।