বিএনপি আন্দোলনের নামে যদি সহিংসতার উপাদান যুক্ত করে তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দেবে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ বুধবার সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে বিএনপির উদ্দেশে একথা বলেন।বিএনপি কেন তাদের সমাবেশকে ঘিরে ১০ ডিসেম্বর বেছে নিয়েছে এমন প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন,বিএনপি কি জানে না বাংলাদেশের ইতিহাস? ১৯৭১ সালে ১০ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা নীল নকশা বাস্তবায়নে প্রক্রিয়া শুরু হয়।
১০ ডিসেম্বর সিরাজ উদ্দিন হোসেন এবং সাংবাদিক সৈয়দ নাজমুল হক এই দুইজনকে পাক-হানাদার বাহিনী দেশের আলবদর বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে যায় জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো নৃশংসতম ঘটনা বাংলাদেশে সংগঠিত হয়।জ্ঞান,গরিমাযাদেরকে ঘিরে সেইসাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক,চিকিৎসকদের ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয় স্মরণ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন,১০ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য কেন বিএনপি বেছে নিলো এটাই প্রশ্ন?
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন বিএনপি যেতে চায় না,সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাক-হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে,সেই ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ ভাষণ বিএনপির পছন্দ নাও হতে পারে যদিও জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে সর্বকালের সেরা ভাষণ হিসেবে।সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক স্থান,যেখানে স্বধীনতা,মুক্তিযুদ্ধ,১৬ ডিসেম্বর যারা বিশ্বাস করে,সেখানে পাক-হানাদার মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন বিএনপির অপছন্দ তা জানতে চেয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন,সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক উদ্যান।বিশাল জায়গা এখানে,আওয়ামী লীগ সব সমাবেশ,জাতীয় সম্মেলন করে এখানে।
তাহলে বিএনপি কেন তাদের পার্টি অফিসের সামনে ছোট এলাকায়,যেখানে ৩৫ হাজার স্কোয়ারের ফিটের মতো একটা ছোট জায়গায় তাদের সমাবেশের বেছে নিলো প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের।
পার্টি অফিসে সমাবেশ করার জন্য বিএনপির এতো দৃঢ়তা কেন? এখানে তাদের কি কোন বধ উদ্দেশ্য আছে? কোন মতলবে কি তারা এটা চায়? আওয়ামী লীগ সতর্ক পাহারায় থাকবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।