বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের প্রকাশিত প্রতিবেদন মতে গত জুন মাসে দেশে ১০১ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের ঘটনাসহ মোট ৩০৮ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়।
গতকাল বুধবার (১জুলাই) পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু স্বাক্ষরিত উক্ত প্রতিবেদনে দেখা যায় ধর্ষণের শিকার ১০১ জনের মধ্যে ৬৯ জন ধর্ষণ ও ২৫ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছে।এসময় ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৭ জনকে। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৫ জনকে। উক্ত একমাসে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৩ জন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৬ জন। একই সময় এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ১ জন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন, তন্মধ্য অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। গতএক মাসে অপহরণের শিকার হয়েছে মোট ১৪ জন। এসময়ে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয় ১জনকে। একই সময় বিভিন্ন কারণে ৬২ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এদের মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ৫ জনকে।
প্রতিবেদনমতে, এসময় গৃহপরিচারিকা হত্যা করা হয়েছে ২ জন এবং ১ জন গৃহপরিচারিকার আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। গত মাসে যৌতুকের কারণে নির্যাতন করা হয়েছে ৭ জন নারীকে। একই সময় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৯ জন নারী ও কণ্যাশিশু এবং উত্ত্যক্ত করা হয় ৫ জনকে।গত এক মাসে বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ১৭ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। ৩৪ জন নারী ও কন্যা শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এসময় ফতোয়ার শিকার হয়েছে ১ জন। বাল্যবিবাহ হয়েছে ১ জন কন্যা শিশুর।
এছাড়া নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২ জন নারী ও শিশু। মহিলা পরিষদ মনে করে করোনাকালে নারী নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সকল তথ্য গণমাধ্যম পর্যন্তপৌঁছে না। নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ কওে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ দ্রুত গ্রেফতার এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানায়। এ ধরণের প্রতিরোধে আশু কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকার, প্রশাসনের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
Comment here
You must be logged in to post a comment.