আন্তর্জাতিক

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তৃতীয় দফায় চিকিৎসা সরঞ্জাম সহায়তা দিয়েছে ভারত

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তৃতীয় দফায় চিকিৎসা সরঞ্জাম সহায়তা দিয়েছে ভারত

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তৃতীয় দফায় চিকিৎসা সরঞ্জাম সহায়তা দিয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত।

বুধবার (০৬ মে) ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ আরটি-পিসিআর কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট সমন্বিত জরুরি চিকিত্সা সহায়তার তৃতীয় চালান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.  এ কে. আবদুল মোমেনকে হস্তান্তর করেছেন।

দেশটির দূতাবাস জানিয়েছে, এই কিটগুলোর সাহায্যে ৩০ হাজার পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।

‘দুঃসময়ে পাশে থাকি, বন্ধু বলে যখন ডাকি’, শ্লোগানে এর আগে দুই দফায় বাংলাদেশকে করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়েছিল ভারত।

গত ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতে এই ভাইরাসের প্রভাব হ্রাস করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তায় ভারতের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলেন।

বুধবারের চালান সম্পর্কে দেশটির হাইকমিশনার জানান, এই আরটি-পিসিআর শনাক্তকরণ কিটগুলো ভারতের ‘মাই ল্যাব ডিসকভারি সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড’ উত্পাদিত এবং  কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের জন্য ভারতে বহুল ব্যবহৃত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই শনাক্তকরণ কিট প্রাপ্ত প্রথম অংশীদার দেশ।  যা এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি ভারতের গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।

দুই দেশের মধ্যকার কালোত্তীর্ণ বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে, বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন মহামারি সংক্রমণের পর তিন দফায় ভারতের সহায়তার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, শনাক্তকরণ কিটগুলো বাংলাদেশে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে দেবে যা এই মুহূর্তে খুব প্রয়োজন।

দূতাবাস আশা প্রকাশ করে, তাত্ক্ষণিক ব্যবহার উপযোগী এই পরীক্ষার কিটগুলো বাংলাদেশ সরকারকে ব্যাপকভাবে পরীক্ষা করার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।

জানা গেছে, আরটি-পিসিআর পরীক্ষার কিটগুলো বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। কিটগুলো প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় সংরক্ষিত অবস্থায় ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে নিয়ে আসার পর ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

Comment here