লড়াইটা জিতেই গেলেন দিপীকা পাড়ুকোন। কারণ বয়কট ফতোয়া উপেক্ষা করেই দেশের জনতা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলও ভিড় জমাচ্ছে ‘ছপাক’ দেখতে। সেই ভিড়ের হাত ধরেই দেশে প্রথম দিনেই ‘ছপাক’ ব্যবসা করে ফেলেছে ৬ কোটির। অনুমান সিনেমা তো হিট হবেই, হয়তো ১০০ কোটির ক্লাবেও ঢুকে যেতে পারে এই সিনেমা।
দিপীকা পাড়ুকোন এই প্রথম অভিনয়ের পাশাপাশি হাত রেখেছেন প্রযোজনায়। অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী অগ্রবালের জীবন তুলে ধরে সিনেমা বানিয়েছেন বলিউডের মহিলা পরিচালক মেঘনা গুলজার। সেই সিনেমাই প্রয়োজনা করছেন দিপীকা। বাজেট ৪০ কোটি টাকা। প্রথম দিকে এই সিনেমা ঘিরে সে রকম কোনও ঝড় ওঠেনি।
কিন্তু দিপীকা দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে তাঁদের মাঝে চলে যেতেই তিনি গেরুয়া শিবিরের রোষানলে পড়ে যান। কার্যত ‘ছপাক’ বয়কটের ডাক দেওয়া হয় গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। কিন্তু সেই বয়কটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় দেশের অ-বিজেপি দলগুলো। কংগ্রেস তো মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে এই সিনেমাটিকে করমুক্ত ঘোষণাও করে দিয়েছে।
সব দেখে তাই অনেকেরই ধারনা প্রথম সপ্তাহেই ‘ছপাক’ তৈরির টাকা ঘরে তুলে ফেলবেন দিপীকা। তারপর যেটা থাকবে সেটাই লাভ। তাই সিনেনা হিট হওয়া নিয়ে কেউ ভাবছে না। সকলে এটাই দেখতে চাইছে, দিপীকার এই সিনেমা ২০২০ সালের ১০০ কোটি সিনেমার তালিকায় ঢোকে কিনা। যদিও বক্স অফিস পণ্ডিতদের অভিমত ১০০ কোটির ক্লাবে ‘ছপাক’ কে ঢুকতে হলে প্রথম উইকএন্ডেই অন্তত ৩০ কোটির ব্যবসা করতে হবে। ওয়েবসাইট