সোমবার (১ জুন) দুপুরে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন অসচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার ফলে পরিস্থিতির যদি আরও অবনতি হয়, তাহলে জনস্বার্থে সরকার কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি মালিকদের স্বাস্থ্যবিধি এবং শর্ত মেনে গাড়ি চালানোর অনুরোধ করছি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ভিজিলেন্স টিম, মোবাইল কোর্টসহ টার্মিনাল কর্তৃপক্ষকে অর্ধেক আসন খালি রাখা, বর্ধিত ৬০ শতাংশ ভাড়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক পরিধানের বিষয় তদারকির আহ্বান জানাচ্ছি।
পাশাপাশি যাত্রীসাধারণকে অনুরোধ করছি আপনারা অতিরিক্ত যাত্রী হবেন না। অর্ধেক আসন খালি রাখুন। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে টিকিট কাটুন। নিজে সংক্রমণ থেকে বাঁচুন অপরকে বাঁচান।
‘হুড়োহুড়ি, বাড়তি যাত্রী হওয়া স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দেশকে আরও সংকটে নিমজ্জিত করতে পারে। আমি পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সংকটে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনের অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের অসচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় পরিস্থিতির যদি আরও অবনতি হয়, তাহলে জনস্বার্থে সরকার আবারও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে’।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক হওয়ার পরও লকডাউন শিথিল এবং কোথাও তুলে নিয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পবিত্র মক্কা-মদিনা-মসজিদুল আকসাও ধীরে ধীরে মুসল্লিদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। জীবনের পাশাপাশি জীবিকা দীর্ঘমেয়াদি বন্ধ থাকলে জীবনের গতিপথে নেমে আসবে স্তব্ধতা। অর্থনীতি হয়ে পড়বে স্থবির। তাই পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান বেছে নিতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে আমাদের অনিবার্য প্রয়োজন সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। নিজের সুরক্ষা প্রকারন্তে পরিবার, সমাজ ও সহকর্মীর সুরক্ষা দেবে। তাই প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থানে সচেতন ও সুরক্ষিত থাকি, ঘরকে তৈরি করি সুরক্ষার দুর্গ হিসেবে।’
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এমন সাহসী নেতৃত্ব আমাদের সবার পাশে রয়েছেন, তিনি দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তার প্রতি আস্থা রাখুন ভরসা রাখুন। মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি আমরা সংকট কাটিয়ে উঠব ভোরের আলোয় আলোকিত হবে দশদিগন্ত ইনশাল্লাহ।
Comment here
You must be logged in to post a comment.