কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে গর্জে উঠেছে সর্বনাশি তিস্তা।
২০ জুন সকাল ৬টা থেকে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তিস্তা অববাহিকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
তিস্তা ব্যারেজের ফ্লাড বাইপাস এর কাছে ঢলের পানি এখনো ৩ ফুট নিচে থাকায় লাল সংকেত জারি করা হয়নি। তবে হলুদ সংকেতের মাধ্যমে তিস্তাপাড়ের মানুষজনকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। ডালিয়া পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, শনিবার ডালিয়া পয়েন্টের তিস্তা অববাহিকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৬২ মিলিমিটার। গত ৫দিনের বৃষ্টিপাত ছিল ২শ ২৬ মিলিমিটার। ভারীবৃৃষ্টিপাতের সঙ্গে উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে সকাল ৬টা থেকে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজের উজানের ৭ কিলোমিটার অদূরে টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি এলাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বালুর বাঁধের ৬০ মিটার ধসে গেছে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক। এছাড়া চরের জমিতে বর্তমানে থাকা বাদাম ক্ষেতগুলো তলিয়ে গেছে। ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ছাতুনামার চর, ফরেস্টের চর, সোনাখুলির চর ও ভেন্ডাবাড়ি চরের দেড় হাজার পরিবারের ঘরে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।
দক্ষিণ সোনাখুলি এলাকায় তিস্তা নদীর ডান তীরের প্রধান বাঁধের অদূরে ইউনিয়ন পরিষদের তৈরি করা মাটির বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। বাঁধের ওপর দিয়ে তিস্তা নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় দক্ষিণ সোনাখুলি কুঠিপাড়া গ্রাামের আবাদি জমিগুলো তলিয়ে গেছে। খালিশা চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার বলেন, পূর্ববাইশ পুকুর ও ছোটখাতার পাঁচ শতাধিক পরিবারের বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। খগাখড়িবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন বলেন, কিসামত ছাতনাই গ্রামের তিন শতাধিক পরিবারের বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, তার এলাকা ঝাড়শিঙ্গেশ্বর গ্রাামে পানি প্রবেশ করেছে।
Comment here
You must be logged in to post a comment.