রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
হোম » শীর্ষ সংবাদ » নির্বাচিত মেয়ররা ৫ থেকে ৭% মানুষের রায় পেয়েছেন

নির্বাচিত মেয়ররা ৫ থেকে ৭% মানুষের রায় পেয়েছেন

জনগণের ওপর ভর করেই রাজনীতি। শক্তি তো জনগণের, সেটাকে উৎসাহিত করার জন্য সভা-সমাবেশ ও মিছিল করি। এ কথা বলেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিলে ড. কামালের নিজ চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

রাজনৈতিক দল বা জোট যে সভা-সমাবেশ করে তা ঐক্যফ্রন্টের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। জনগণের ওপরই কেন সব দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন? রাজনৈতিক দল বা জোট হিসেবে তো নেতাদেরও মাঠে থাকার কথা—এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল আরো বলেন, ‘আমাদের দেশের ৭০ বছরের ইতিহাস দেখেন। তারা সব সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিবর্তন এনেছে। সেই ৬ দফা, ১১ দফা এবং স্বাধীনতার কথা যদি মনে রাখেন—সব সময় জনগণ এগিয়ে এসেছে। স্বাধীনতার পর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও জনগণ এগিয়ে এসেছে। এ দেশের মানুষ সচেতন, তারা কখনো স্বৈরতন্ত্রকে গ্রহণ করেনি। এখনো করবে না। তাদের উৎসাহিত করতে আমাদের করণীয় অবশ্যই করে যাব। সভা, মিছিল, মিটিং সবই হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার দায়িত্বহীনভাবে সংবিধানের পরিপন্থী কাজ করে গোটা নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে ফেলেছে। যার ফলে এই ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। জনগণকে নিয়ে আমাদের পরিবর্তন আনতে হবে। এ দেশের মানুষ সচেতন, তারা কখনো স্বৈরতন্ত্রকে গ্রহণ করেনি, এখনো করবে না।’

বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েও মাঠে দেখা যায়নি ঐক্যফ্রন্টকে। চারটি পথসভার ঘোষণা দিয়েও তারা সেগুলো করেনি—এতে তাদের সাংগঠনিক ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে কি না জানতে চাইলে ড. কামাল বলেন, ‘আমাদের কাজগুলোকে জোরদার করতে হবে। জনগণকে নিয়ে পরিবর্তন আনতে আমরা বাধ্য। এভাবে দেশ চলতে পারে না।’ এ সময় গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, এখন থেকে তাঁরা মাঠে থাকবেন। ডা. জাফরুল্লাহ ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ফ্রন্টের অন্য নেতারাও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ‘আমরা জনগণের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দিইনি। জনগণ সব ক্ষমতার মালিক। সে কারণেই আমরা জনগণের ওপর আস্থা রেখেছি। কিন্তু সরকার জনগণের আস্থা কেড়ে নিয়েছে, ভোট কেড়ে নিয়েছে।’ জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের কাজ হচ্ছে নির্দেশনা দেওয়া। কার্যকর করবে জনগণ।’

প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে ড. কামালের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মহসিন রশিদ। এতে সদ্য সমাপ্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. কামাল বলেন, ‘সরকার, নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনপ্রক্রিয়ার ওপর বাংলাদেশের জনগণ ও যুবসমাজ অনাস্থা প্রকাশ করেছে। নির্বাচিত মেয়ররা ৫ থেকে ৭% মানুষের রায় পেয়েছে। বাকি ফলাফল ইভিএমের জাল ভোট।’ তিনি বলেন, ‘জনগণ ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার অর্থ তারা মনে করে, তাদের ভোটে এই সরকারের পরিবর্তন হবে না। এটা দেশ ও জাতির জন্য একটা অশনিসংকেত।’

আরো পড়ুন

নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগের মাথাব্যথা নেই।ওবায়দুল কাদের'

নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগের মাথাব্যথা নেই।ওবায়দুল কাদের’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলে মন্তব্য করলেন’নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগের মাথাব্যথা নেই।শনিবার [২৭ …