দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে এবং এর বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
তবে এ লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না তা শুক্রবার (১৫ মে) বোঝা যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দুপুরে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে চারটি ধাপ পার করতে হয়। লঘুচাপ থেকে সুস্পষ্ট লুঘুচাপ; এরপর এটি নিম্নচাপে রূপ নেবে। নিম্নচাপ থেকে এটি গভীর নিম্নচাপে গেলে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ আন্দামান সাগরে এখনো সুস্পষ্ট লঘুচাপ রয়েছে। তবে এটি ঘূর্ণিঝড় হবে কি না, তা আগামীকাল বোঝা যাবে। কারণ অনেক সময় নিম্নচাপেও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় শক্তি হারায়।
বৃহস্পতিবারের আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কুমিল্লা অঞ্চলসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা এবং খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া ও বিদ্যুৎ চমকানোসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা থাকতে পারে আকাশ।
খুলনা বিভাগসহ মাদারীপুর, চাঁদপুর, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি) জানিয়েছে, লঘুচাপের কারণে কেরালার অনেক জেলায় ‘ইয়েলো অ্যালার্ট’ জরি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’র গতিপথে রাজ্যটি সরাসরি না হলেও ঝড়ের প্রভাবে আগামী ১৫ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে।
Comment here
You must be logged in to post a comment.