চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনে আশাবাদী অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়া-মন্ত্রী। ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সপ্তম টি-টোয়েন্টি আয়োজন করার কথা রয়েছে আইসিসির। কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাবে বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যাবে কি না তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।
আইসিসি শেষ তিন মাসে নিজেদের দুই বোর্ড সভায় বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আলোচনা করলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। সর্বশেষ গত ১০ জুন আইসিসির পূর্ণ সদস্যভুক্ত দেশগুলির প্রতিনিধি নিয়ে বোর্ড সভায় বসেছিল। সেদিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার কথা থাকলেও আইসিসি আরও এক মাস সময় নেওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী রিচার্ড কোলবেক টুর্নামেন্ট চালিয়ে নিতে আশাবাদী।
এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে কোলবেক বলেছেন,‘ফেডারেল সরকার পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিকল্পনা নিয়ে স্থানীয় আয়োজক কমিটি এবং রাজ্য সরকারগুলির সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে চলেছে। আশা করছি আমরা এ বছর বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারব। মহামারি করোনা সম্পর্কে আমাদের নির্ধারিত প্রতিক্রিয়া এবং ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আমাদের সামর্থ্য ও সচেতনতা জরুরী। এজন্য আমরা তিন-ধাপ কাঠামো তৈরি করেছি।’
তবে মাঠে দর্শক জায়গা দিতে পারবে কি না তা নিয়ে চূড়ান্ত কিছু বলতে পারেননি ক্রীড়ামন্ত্রী। তার ভাষ্য,‘সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া দর্শকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। এখন পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা খেলোয়াড় এবং দর্শকদের নিরাপদ রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টুর্নামেন্ট সম্পর্কিত যে কোনও সিদ্ধান্তই শেষ পর্যন্ত আইসিসি-ই নেবে।’
১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত এই মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। প্রথম রাউন্ড পেরিয়ে এ প্রতিযোগিতার মূল আসরে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। প্রথম রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নামিবিয়া, নেদারল্যান্ডস ও স্কটল্যান্ড। ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে আয়ারল্যান্ড, ওমান, পাপুয়া নিউ গিনি ও শ্রীলঙ্কা। দুই গ্রুপ থেকে সেরা দুই দল যাবে পরের রাউন্ডে। দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে শুরু হবে আসল লড়াই। র্যাংকিংয়ের শীর্ষ আট দল সরাসরি নিশ্চিত করেছে দ্বিতীয় রাউন্ড।
Comment here
You must be logged in to post a comment.