গাজায় ইসরাইলের হামলায় একদিনে তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদেরমধ্যে ৭৩ জন মারা যায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে। নিহতদের মধ্যে ৩৩ জন ত্রাণ আনতে গিয়ে ইসরাইলের হামলা শিকার হন। খবর আল জাজিরার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আল জাজিরাকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএফএইচ) ত্রাণ শিবিরে সামান্য খাবারের আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। খাবারের পরিবর্তে বিনা উষ্কানিতে তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ইসরাইলি বাহিনী।
আল মাওয়াসি এলাকায় ইসরাইলি হামলায় মারা যায় ১৩ জন ফিলিস্তিনি। এদেরমধ্যে এক দম্পতি ও তাদের চার সন্তনও রয়েছেন।
এছাড়া, গাজা সিটির মুস্তফা হাফেজ স্কুলে আরেকটি হামলায় মারা যায় ১১ জন। এখানে ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসনে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিলেন।
গাজা সিটির উত্তরাঞ্চলে একটি ত্রাণ শিবিরে হামলায় ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হন। আহত হন শতাধিক মানুষ। আর বেইত লাহিয়ায় ইসরাইলের বর্বর হামলায় নিহত হয় কমপক্ষে তিনজন।
এরআগে বুধবার ইসরাইলি বিমান হামলায় পরিবারের সাত সদস্যসহ গাজার একটি হাসপাতালের পরিচালক ড. মারওয়ান সুলতান নিহত হয়েছেন। গাজা সিটির উত্তরাঞ্চলে হামলায় পরিবারের সদস্যসহ নিহত তিনি।
ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ড. মারওয়ান সুলতান দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসা পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন।
এই ঘটনাকে গাজার ‘চিকিৎসা কর্মীদের বিরুদ্ধে নৃশংস অপরাধ’ উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে, অবরুদ্ধ পশ্চিমতীরে ইহুদী অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা জেরিকো শহরের কাছে একমাসে ছয়টি ফাঁড়ি স্থাপন করেছে। সেইসঙ্গে ইহৃদীরা স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরেও হামলা চালায়।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পশ্চিম তীরে ইসরাইলের বসতি স্থাপন অবৈধ।