বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক কিশোরীকে (১৫) অপহরণের পর তিন মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দিবাগত রাতে আকলিমা বেগম নামে ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আকলিমা বেগমকে আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নির্যাতিতা ওই কিশোরীকে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ।
এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতিতার বড় বোন বাদী হয়ে ওই নারীসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। অপর আসামিরা হলেন- পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার মাটিভাঙ্গা গ্রামের সহিদ শেখ ওরফে সুমন, একই থানার মাহমুদকান্দি গ্রামের সরোয়ার ফরাজীর ছেলে রেজাউল ফরাজী এবং আকলিমার স্বামী সাহিদ শেখ।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তাদের মা মারা গেলে ছোট বোন নিয়ে দাদার পরিবারে আশ্রিত ছিলেন। বাবা ঢাকায় কাজ করতেন। দাদা-দাদী মারা যাবার পরে তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে ঢাকায় বসবাস শুরু করে। বাবা ঢাকায় থাকার কারণে ছোট বোনকে প্রতিবেশী ফুফু আকলিমা বেগমের হেফাজকে রাখা হয়।
বাড়িতে আকলিমার ভাসুর সাহিদ শেখ ওরফে সুমনসহ পরিবারের অন্যান্য স্বজনরা যাতায়াতের সুবাদে আসামিদের সাথে তার বোনের পরিচয় ছিল। সেই সূত্র ধরে গত ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় সাহিদ শেখ মুঠোফোনে তার বোনকে বাড়ির পাশে রাস্তায় দেখা করতে বলে। সাহিদ শেখের সাথে রাস্তায় দেখা করতে গেলে সেখানে সহিদ ও তার সহযোগীরা তার বোনকে জোরপূর্বক অপহরণ করে মোটরসাইকেল যোগে পিরোজপুর সুমনের বাড়ি নিয়ে আটকে রাখে।
১৭ মার্চ রাতে সুমন জোরপূর্বক তার বোনকে ধর্ষণ করে। এরপর প্রায় তিন মাস তার বাড়িতে আটকে সুমন অব্যাহতভাবে তাকে ধর্ষণ করে। গত ১০ জুন কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে বাড়ি ফিরে সব ঘটনা জানায় সে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা করেন তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তৈয়বুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে সহায়তাকারী আকলিমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশালে প্রেরণ করা হয়েছে।
Comment here
You must be logged in to post a comment.