আন্তর্জাতিকসর্বশেষ সংবাদস্বাস্থ্য

করোনা রোগীর চাপ বাড়ায় বন্ধ করে রাখা হয়েছে হাসপাতালের দরজা

করোনা রোগীর চাপ বাড়ায় বন্ধ করে রাখা হয়েছে হাসপাতালের দরজা

একদিকে প্রতিদিন হামলা, অন্যদিকে মহামারি করোনা নিয়ে বিপর্যস্ত আফগানিস্তান। ভাইরাসটির তৃতীয় ঢেউয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে দেশটি। পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের দরজা। একই সঙ্গে দেখা দিয়েছে অক্সিজেনেরও তীব্র সংকট। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দু’হাজার মানুষ। মারা গেছেন ৭১ জন।

কাবুলের একটি হাসপাতালের তথ্য থেকে জানা গেছে করোনা রোগীতে কানায় কানায় ভর্তি। চাপ বাড়ায় নতুন কোনো রোগী ভর্তি করছে না কর্তৃপক্ষ। এমনকি বন্ধ করে রাখা হয়েছে হাসপাতালের দরজাও।

প্রথম দুটি পর্ব মোকাবিলা করতে পারলেও করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে এসে অনেকটাই বিধ্বস্ত আফগানিস্তান। দেশটিতে প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। যা উদ্বেগে ফেলে দিয়েছেন দেশটির চিকৎসকদের।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন করোনা রোগী আসছে ভর্তির জন্য। কিন্তু আমরা অসহায়। এখানে কোনো বেডই ফাঁকা নেই।

অতিরিক্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় দেশটিতে এরই মধ্যে অক্সিজেনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে দাম বেশি হলেও কালোবাজারে ছুটছে মানুষ। সেখানেও নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন তারা।

ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি বলেন, আমার বাবা খুব অসুস্থ। তার জন্য অক্সিজেন নিতে এসেছি। কিন্তু এখানেও বৈষম্য লক্ষণীয়। কেউ পাচ্ছে, কেউ পাচ্ছে না।

হাসপাতালে রোগী ভর্তি করাতে পারিনি। তাই এখানে এসেছি অক্সিজেন নিতে। যাতে বাসাতেই চিকিৎসা করাতে পারি। কিন্তু এখানে অনেক দাম। এমনকি সঠিক সময়ে পাচ্ছিও না আমরা বলেন আরেকজন।

তিন কোটি ৬০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় এক লাখ মানুষ। আর মারা গেছেন তিন হাজার ৭ শর মতো।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বুধবার (১৬ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও ৮ হাজার ৮০৯ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৬৭ হাজার ১৫৮ জন।

এ নিয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় মৃত্যু হলো ৩৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩৫ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ কো।