প্রধানমন্ত্রী শেখ বলেন, ‘সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছিলাম। এর সুফলও দেশবাসী পাচ্ছিলেন। কিন্তু ভয়াবহ করোনাভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে। আমাদের দেশটাকে সুরক্ষিত করা, দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভাইরাসে দেশের মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। সে লক্ষ্য মাথায় রেখে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।
সোমবার (৪ মে) গণভবন থেকে রংপুর বিভাগের আট জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘বেশ কিছু নির্দেশনা আপনারা খুব শিগগিরই পাবেন। আমাদের সরকারি অফিস-আদালত সব সীমিত আকারে চালু করে দিচ্ছি, যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। সামনে ঈদ। ঈদের আগে কেনাকাটা বা যার যা দরকার সেগুলো যেন মানুষ করতে পারেন সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সাধারণ ছুটির মধ্যেই সরকার পোশাক কারখানাসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দফতর সীমিত আকারে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া সরকারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সীমিত আকারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘যেহেতু রোজার মাস, তাই আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। ধীরে ধীরে আমরা কিছু জিনিস উন্মুক্ত করে দিচ্ছি। কিন্তু সেখানে আপনাদের নিজেকে সুরক্ষিত করতে হবে। আবার অপরকেও সুরক্ষিত রাখতে হবে। কাজেই আমাদের স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে যেসব নির্দেশনা গেছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে সেগুলো আপনারা অবশ্যই মেনে চলবেন।
Comment here
You must be logged in to post a comment.