করোনায় স্থবিরতার মধ্যে দেশের কৃষি পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘বোরো ধান আমাদের প্রধান ফসল। মোট উৎপাদনের ৬০ ভাগ বোরো থেকে আসে। বোরোর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তখন আমাদের ধারণা ছিল না যে, দেশ করোনায় আক্রান্ত হবে। করোনা আক্রান্তের পর পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশও স্থবির রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দুপুরে সচিবালয় থেকে ধানের দাম ও কৃষির সমসাময়িক বিষয়ে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সারাদেশে ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। হাওরে শতভাগ এবং সারাদেশে ৪৮ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকরা সফলভাবে বোরো ধান ঘরে তোলার পাশাপাশি ধান বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছেন। হাওরে শতভাগ এবং সারাদেশে ৪৮ ভাগ বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে। এখন সারাদেশের সমতল ভূমিতে ধানকাটা চলছে। আবহাওয়াও মোটামুটি অনুকূলে। ধান কাটাও বেশ এগিয়ে চলছে। শ্রমিকরাও সমতল ভূমিতে ফিরে এসেছেন।’
তিনি বলেন, ‘অঞ্চলভেদে ধানের বাজার দর কম-বেশি আছে। এছাড়া ভেজা ও শুকনো ধান এবং মোটা ও চিকন ধানের দামেও পার্থক্য রয়েছে। অঞ্চলভেদে ধানের দাম প্রতি মণ ৬০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এবার ধানের যে দাম, তা মোটামুটি যুক্তিসঙ্গত।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বোরোর পর আমাদের দ্বিতীয় ফসল আমন ও তৃতীয় আউশ। আমনে আমরা এক কোটি ৫০ লাখ টন বা এর কমবেশি উৎপাদন পেয়ে থাকি। আর আউশে পেয়ে থাকি ৩০ লাখ টন বা এর বেশি।’
Comment here
You must be logged in to post a comment.