মঙ্গলবার সব মিলিয়ে বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯১ লক্ষ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৭৪ হাজারেরও বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলছেন, করোনার সংক্রমণ এখনো বাড়ছে। এর ফল কয়েক দশক ধরে এর ফল ভোগ করতে হবে।
১২ মার্চ প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল নেদারল্যান্ডসে। তার পর থেকেই হু-হু করে বাড়ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে সে দেশে। কিন্তু সোমবার দেশের কোনও প্রান্ত থেকেই নতুন সংক্রমণের খবর মেলেনি। ইতালিতেও করোনা-মৃত্যুর হার ক্রমশ কমছে বলে দাবি সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরে। সোমবারের হিসেব অনুসারে, সেখানে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। যা ২ মার্চের পর থেকে সবচেয়ে কম। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বাধ্যতামূলক ভাবে বেশির ভাগ স্কুল খুলে গিয়েছে ফ্রান্সে। কয়েক সপ্তাহ পরেই গরমের ছুটি। তার আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে স্কুলের কার্যক্রম।
দুবাই কর্তৃপক্ষ আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল কনফারেন্সে ডাব্লিউ এইচ ও এর প্রধান ট্রেডোস অ্যাধনম গেব্রিয়েসাস কোভিড-যুদ্ধ জিততে সব দেশকেই ফের একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আরও কয়েক দশক ভুগতেই হবে। এটা শুধু স্বাস্থ্য সঙ্কট নয়, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং কিছু দেশের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সঙ্কটও’।
করোনা-যুদ্ধ জিততে মরিয়া গোটা বিশ্ব এখন প্রতিষেধকের দিকে তাকিয়ে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছে। নাইজেরিরায় এক দল বিজ্ঞানীও আজ জানান, তাঁদের প্রতিষেধক তৈরির কাজ প্রায় শেষ। আফ্রিকার তরফে আসা প্রথম এই সম্ভাব্য প্রতিষেধকটি করোনা ছাড়াও আরও অনেক সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সক্ষম বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। তবে এটি নাকি প্রাথমিক ভাবে আফ্রিকার জন্যই বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে বেইজিংয়ে নতুন করে আক্রান্তের মাঝে শুরু হয়েছে ডগ ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়েথে সেখানে। পাকিস্তানেও নতুন করে সংক্রামিত প্রায় পাঁচ হাজারের কাছাকাছি মানুষ। তবে চিন্তার কেন্দ্রে ব্রাজিল-সহ মেক্সিকো, পেরু ও চিলির মতো লাতিন আমেরিকার দেশগুলিই।
বিশ্বে মোট আক্রান্তের প্রায় ২৫ শতাংশ আমেরিকার বাসিন্দা। সেখানে এখনও পর্যন্ত ২২ লক্ষ ব্যক্তির শরীরে এই মারণ ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা গিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে এই মহামারীর ভরকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে লাতিন আমেরিকা। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ব্রাজিল। তৃতীয় স্থানে রাশিয়া। আর চতুর্থ স্থানে ভারত। তবে ভারতে প্রতিদিন যে হারে সংক্রমণের ঘটনা বাড়ছে এভাবে চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই রাশিয়াকে টপটে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে পৌঁছে যাবে ভারত।
Comment here
You must be logged in to post a comment.