গরিব খেটে খাওয়া মানুষের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফি দেওয়ার সামর্থ্য নেই জানিয়ে তা যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (০১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা পরীক্ষায় ফি নির্ধারণের বিষয়টি সম্প্রতি আলোচিত হচ্ছে। এতে অসহায় দরিদ্র মানুষ পরীক্ষা থেকে দূরে থাকবে বলে বিশ্লেষকরা বলছেন। যে কারণে সংক্রমণ আরও দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়বে।’
‘আমি সংশ্লিষ্টদের প্রতি দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সামর্থ্য বিবেচনা নির্ধারণের বিষয়টি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। গরিব খেটে খাওয়া মানুষের ফি দেওয়ার সামর্থ্য নেই। তারা পরীক্ষার বাইরে থেকে যাবে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করছি।’
তরুণদের করোনা সংক্রমণ বেশি ঘটছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ ও আক্রান্তদের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে তুলনামূলকভাবে তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। তরুণদের অনেকের মধ্যে উদ্বেগহীন চলাচল, সামাজিক দূরত্ব না মানা এবং জনসমাগমে যাওয়ার প্রবণতার কারণে সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। তাদের থেকেই পরিবারের অন্য সদস্যরা আক্রান্ত হচ্ছেন বা আশঙ্কা রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় পরিবারের বয়স্ক সদস্যরা ঝুঁকিতে পড়ছে, প্রাণ হারাচ্ছে। তাই আমি তরুণ-যুবকসহ সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি।’
বেশ কিছু এলাকায় নতুন করে লকডাউনের কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার নতুন করে ঢাকা মহানগরের কিছু এলাকাসহ অনেক জেলায় নির্দিষ্ট স্থানে লকডাউন কার্যকর করেছে। যেসব এলাকায় লকডাউন শেষ হয়েছে সেখানে ইতিবাচক ফল এসেছে বলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘সংক্রমণ এখন ছড়িয়ে পড়েছে শহর থেকে গ্রামে। একটি রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়লে তা সীমাবদ্ধ সুযোগ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টসাধ্য। আমরা তার প্রমাণ পেয়েছি।’
Comment here
You must be logged in to post a comment.