ময়মনসিংহের তারাকান্দায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে এবং মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় সাড়ে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারাকান্দার পরীক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণের পর ধর্ষণ করা হয়।
অপহরণ ও ধর্ষণে অভিযুক্ত ইউসুফ আলী (৪০) তারাকান্দা উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে এবং চার সন্তানের জনক। এ ঘটনায় নির্যাতিত ছাত্রীর বাবা তারাকান্দা থানায় গত রবিবার মামলা করার পর ইউসুফকে গ্রেপ্তার ও ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
থানা ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, ইউসুফ আলী পরিচয় গোপন রেখে দীর্ঘদিন আগে মোবাইল ফোনে ছাত্রীটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন। গত ২৬ জানুয়ারি ইউসুফ ছাত্রীটিকে প্রতারণা করে মোবাইল ফোনে কল করে তারাকান্দা বাসস্টেশনে ডেকে আনেন। পরে সেখান থেকে তাকে অপহরণ করেন। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে গত রবিবার বাবা থানায় অপহরণ মামলা করেন। এদিন রাতে পুলিশ মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে ইউসুফের অবস্থান শনাক্ত করে। রাতেই পুলিশ ইউসুফের বাড়ির পাশের চাড়িয়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার ও বাড়িটি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
তারাকান্দা থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, গতকাল ইউসুফকে আদালতে ও মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের আবাসিক এলাকায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরের ঘটনায় শিশুটির বাবা রবিবার রাতে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। রাতেই অভিযুক্ত আসমত আলী খানকে (৬০) উপজেলার কবিরাজপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বাড়ি শিবচর উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের চরকামারকান্দি পালপাড়া এলাকায়। পুলিশ ও শিশুটির পরিবার জানায়, আসমত আলী খান বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকেরহাট আবাসিক এলাকায় ছেলের বাসায় বেড়াতে আসেন। এ সময় তিনি শিশুটিকে কৌশলে ডেকে নিয়ে উচ্চৈঃস্বরে মোবাইল ফোনে গান বাজিয়ে যৌন নির্যাতন করেন। [প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন ফুলপুর (ময়মনসিংহ) ও রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি]