নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের কঠোর সমালোচনা করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। তারা বলেন, ‘পত্রিকায় প্রকাশিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট দেখার পরে স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি যে, এটা সরকারের পুরো দেউলিয়া বাজেট।’ শুক্রবার (১৯ জুন) ঐক্যফ্রন্টের এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, আ স ম আবদুর রব, ড. আবদুল মঈন খান, মাহমুদুর রহমান মান্না, ড. রেজা কিবরিয়া, অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী। তারা বলেন, ‘প্রথমে ভাবছিলাম, পুরো বাজেটে এক-তৃতীয়াংশই হলো ঘাটতি, যা জিডিপির ৬ শতাংশ। কিন্তু সরকারকে আগামী বছর ঋণ নিতে হবে ৫ লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকা। যেখানে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট হলো ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার। এই হিসাবে ঋণ হলো বছরে সর্বমোট বাজেটের বরাদ্দের চেয়ে বেশি। এরকম মারাত্মক অর্থনীতি পরিস্থিতি বাংলাদেশের প্রায় ৫০ বছরের ইতিহাসে কখনো হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।’
ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেন, ‘এই করোনা মহামারিতে আমাদের দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। বিভিন্ন সমীক্ষায় আমরা দেখছি বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে দেশে এখন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ। মূলত দরিদ্রদের কথা মনে রেখেই এবারের বাজেট প্রণয়ন করা দরকার ছিল। এই মুহূর্তে উন্নয়নখাতে বরাদ্দ কমিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক নিরাপত্তার দিকে বেশি নজর দেওয়ার দরকার ছিল। যেন বিশেষভাবে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জীবন ও জীবিকার সমাধান হয়।’
কৃষিখাতে আরও ভর্তুকি দেওয়ার প্রয়োজন ছিল উল্লেখ করে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি মন্ত্রণালয়কে ১৫ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কৃষিখাতে ভর্তুকি ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।’ এই বরাদ্দ ও ভর্তুকি প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলেও তারা মনে করেন।
Comment here
You must be logged in to post a comment.