জাতীয়সর্বশেষ সংবাদ

 আবু ত্বহাকে ফিরিয়ে দিন অথবা আমাকে তার কাছে নিয়ে যান: ত্বহার স্ত্রী।

 আবু ত্বহাকে ফিরিয়ে দিন অথবা আমাকে তার কাছে নিয়ে যান: ত্বহার স্ত্রী।
ইসলামি বক্তা আবু ত্বহাকে ফিরিয়ে দিন অথবা আমাকে তার কাছে নিয়ে যান এভাবে সহায়তা চেয়েছেন তার স্ত্রী।

বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন নিখোঁজ আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনানের স্ত্রী সাবেকুন্নাহার। ত্বহার স্ত্রী দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় তার সন্ধান পওয়া সম্ভব।

১০ই জুন, রংপুর থেকে রাজধানীতে ফেরার সময় গাবতলী থেকে নিখোঁজ হন ‘অনলাইনে ইসলামি বক্তা’ আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান। পরিবারের এমন অভিযোগ গত ছয়দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে।

তার সঙ্গে গাড়িচালক আমির উদ্দিন ফয়েজ অপর দুই সঙ্গী আবদুল মুহিত ও ফিরোজেরও খোজ মিলছে না। পরিবারের দাবি, ত্বহা অনলাইনে ধর্মীয় বক্তা হিসেবে পরিচিত।

সংবাদ সম্মেলন করে ত্বহার স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী যদি কোন অন্যায় করে থাকেন তাহলে তাকে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করা হোক। সে নিখোঁজ কেন? আমি শুধু তার সন্ধান চাই। তাকে যদি আমার কাছে এনে দিতে না পারেন তাহলে আমাকে তার কাছে নিয়ে যান। আমি একজন স্ত্রী হিসেবে জানি না আমার স্বামী কোথায়। আমি আপনাদের কাছে হাত জোর করে মিনতি করতেছি আপনারা আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন। এর বেশি কিছু চাই না।

তিনি আরো বলেন, উনি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নয়, একেবারে নিরীহ একজন মানুষ। হয়তো ওনাকে নিয়ে কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত এবং দুর্বল হয়ে পড়েছি। যদি আমার কথায় কোনো ভুল কিছু দৃষ্টিগোচর হয় আমাকে ক্ষমা করবেন।

তিনি ওই রাতের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বলেন, সে নিখোঁজ হয়েছে ঢাকা থেকে। সর্বশেষ যোগাযোগ অনুযায়ী গাবতলী পার হয়ে মিরপুর ১১ নম্বরের কাছাকাছি কথা হয়েছে। সে বলেছে, ১০ বা ১৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাবে এবং আমার সাথে লোকেশন শেয়ার করেন। এরপর থেকে তার ফোন ডিসকানেক্টেড হয়ে যায়। আমাকে টেলিফোনে বলেছিলেন, দুটি মোটরসাইকেলে দুজন তাদেরকে অনুসরণ করছিলো। একপর্যায়ে তাদের তারা আর দেখতে পাননি।

আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনানের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন বলেন, একটি গাড়ি ও ৪ জনকে মানুষকে এক সঙ্গে এভাবে গায়েব করে দেওয়া কোন প্রাইভেট সংঘের কাজ হতে পারে বলে আমরা মনে করি না। এখানে কোন সংস্থা বা অন্যকোন মানুষ জড়িত আছে বলে মনে করি।